সর্বশেষ

23 April 2024

কুমিল্লায় এসআই মোঃ মোরশেদ আলমের নেতৃত্বে পুলিশের অভিযানে ৭টি চোরাই মোটর সাইকেলসহ ০২ চোর গ্রেফতার

কুমিল্লায় এসআই মোঃ মোরশেদ আলমের নেতৃত্বে পুলিশের অভিযানে ৭টি চোরাই মোটর সাইকেলসহ ০২ চোর গ্রেফতার

      উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেল 

২২/০৪/২০২৪ ইং তারিখ রাত ০১:৩০ মিনিটের সময় কুমিল্লা সদর দক্ষিন মডেল থানাধীন কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত এসআই মোঃ মোরশেদ আলম ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ সদর দক্ষিন মডেল থানার কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় পেট্রোল ডিউটি করাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন কোটবাড়ি সালমানপুর দীঘির পূর্বপাড় আবুল হোসেনের গ্যারেজের সামনে রাস্তার উপর কয়েকজন মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য একত্রিত হয়ে চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয়- বিক্রয় করতেছে। উক্ত সংবাদপ্রাপ্ত হয়ে এসআই মো: মোরশেদ আলম ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সুকৌশলে ঘটনাস্থল হতে আসামীগণ পালানোর চেষ্টাকালে অফিসার ও ফোর্সের সহয়তায় আসামী মোঃ খোরশেদ আলম (৩০) কে ০১টি কালো রংয়ের Hero glamour মোটরসাইকেল যার রেজি: নং-কুমিল্লা ল-১১-৫৯৪৮ সহ গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ খোরশেদ আলম (৩০) কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তার সঙ্গীয় অপর আসামীগণ ১/ মোঃ শিপু ওরফে শিল্পা ওরফে শিপা (৩৭), ২/ রাকিবুল হাসান প্রকাশ রিয়াদ (২৭) দ্বয়ের হেফাজতে আরো ০৬ টি চোরাই মোটরসাইকেল রয়েছে মর্মে জানান। গ্রেফতারকৃত আসামীর তথ্য মতে সদর দক্ষিন মডেল থানাধীন কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির একটি চৌকশ টিম কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন বালুতুপা এলাকার পলাতক আসামী জসিম ও শিপুদ্বয়ের বসত বাড়ির উঠানে পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পলাতক আসামী জসিম ও শিপু ঘর থেকে বাহির হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে পলাতক আসামীদ্বয়ের বসত-বাড়ী তল্লাশী করে ০৬ টি চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধার পূর্বক জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করেন।

গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম, ঠিকানা ও পিসিপিআর:-

১/ মো: খোরশেদ আলম (৩০), পিং: সেলিম মিয়া, মাতা: সেতারা বেগম, সাং: কোটবাড়ি রামপুর, ২৪ নং ওয়ার্ড, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন, পো: হালিমানগর, থানা: সদর দক্ষিন মডেল, জেলা-কুমিল্লা।

উদ্ধারকৃত আলামত:-

(i) ০১ টি নীল কালো রংয়ের YAMAHA FZS V2 150 CC MOTORCYCLE (ii) ০১ টি লাল কালো রংয়ের BAJAJ DISCOVER 110 CC MOTORCYCLE (iii) ০১ টি লাল কালো রংয়ের HONDA XBLADE 150 CC MOTORCYCLE (iv) ০১ টি নীল কালো রংয়ের BAJAJ DISCOVER 125 CC MOTORCYCLE (v) ০১ টি কালো রংয়ের TVS RAIDER 125 CC MOTORCYCLE (vi) ০১টি লাল কালো রংয়ের HERO GLAMOUR MOTORCYCLE

উক্ত ঘটনায় সদর দক্ষিণ মডেল থানায় এজাহার দায়ের করলে সদর দক্ষিণ মডেল থানার মামলা নং-৩০, তারিখ- ২২/০৪/২০২৪ইং ধারা-৪১৩ পেনাল কোড, রুজু করা হয়।


19 April 2024

গ্রেফতারকৃত ওয়ারেন্টভূক্ত আসামীর তথ্য গোপনের অভিযোগ ভূশ্চিবাজার তদন্তকৃত পুলিশের

গ্রেফতারকৃত ওয়ারেন্টভূক্ত আসামীর তথ্য গোপনের অভিযোগ ভূশ্চিবাজার তদন্তকৃত পুলিশের

নিজস্ব প্রতিবেদক//
ভূশ্চিবাজার তদন্ত কেন্দ্র, পেইজ থেকে জনান দেয় যে, এএসআই আবু তোরাফ হোসেন প্রধান সংগীয় ফোর্সসহ একটি জিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামীকে গ্রেফতার করেন। ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা  প্রক্রিয়াধীন।
যেখানে তিনি মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী সেখানে আবার আইনি প্রক্রিয়া!! 

যেই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাধ্যমে জানান দিলেন, কিন্তু তার নাম ঠিকানা উল্লেখ করা হল না, তিনি কোন মামলায় ওয়ারেন্টভূক্ত ছিলেন তাও উল্লেখ করা হলো না, আবার তার ছবিতে একটি ইমোজি স্টিকার দিয়ে,  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা হয়েছে,  এ নিয়ে আসামী ধৃত করা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ! 

এ বিষয়ে ভূশ্চি ফাঁড়ির আইসি জহিরুল ইসলাম মুঠো ফোনে তার সাথে কথা বললে তিনি জানান, তারা লালমাই থানার অন্তর্ভূক্ত, আসামী ধৃত করার পর লালমাই থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে,  লালমাই থানায় ফোন দেওয়ার জন্য, তিনি আরো বলেন, আমি তো গ্রেফতার করি নাই,  গ্রেফতার করেন এএসআই আবু তোরাফ ওনার সাথে কথা বলার জন্য উক্ত বিষয়ে। 

এএসআই আবু তোরাফকো মুঠো ফোনে উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ওনি এই ছবি পোস্ট করেন নাই, ভূশ্চি তদন্তকেন্দ্র থেকে পোস্ট করা হয়েছে। 

 উল্লেখ্য প্রশ্ন থেকে যায় একজন আসামিকে গ্রেফতার করা হলেও আবার ওয়ারেন্ট ভূক্ত,  তার ঠিকানা লুকায়িত এবং তার ছবিতে ইমুজি স্টিকার লাগানো, এটা কিসের ইঙ্গিত বহন করে তা আর বুঝার বাকি রইল না।

15 March 2024

বাঙ্গরায় সবুজ মেম্বারের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন।

বাঙ্গরায় সবুজ মেম্বারের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন।

বাঙ্গরায় সবুজ মেম্বারের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন। 
আনলাই ডেস্ক//
বাঙ্গরায় সবুজ মেম্বারের উপর হামলা, 
১৩জনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ। 
সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবিতে
 বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার এক নং 
শ্রীকাইল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের চন্দনাইল গ্রামের   সবুজ মেম্বারের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।
বুধবার দুপুরে চন্দনাইল  বাজারে এই বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধনে শত শত নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করে। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন সজীবের নেতৃত্বে গত সোমবার বাদ মাগরিব চন্দনাইল বাজারে  সবুজ মেম্বারের ওপর অতর্কিত হামলা করে  তার নিকটে  থাকা ৩.৯১.৬৪০ টাকা লুট করে নিয়ে যায়, এতে সবুজ মেম্বার গুরুতর আহত হয়। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করলে গত  রাতে সন্ত্রাসীরা নামাজরত অবস্থায় চন্দনাইল বাজার মসজিদে ককটেল ফাটিয়ে হামলা চালিয়ে সবুজ মিয়া মেম্বারের চাচাত ভাই হাসানসহ  মসজিদের তিন মুসল্লিকে নামাজরত অবস্থায় লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। 
এ সময় সন্ত্রাসীরা ককটেল ফাটিয়ে ভীতি সঞ্চারের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। মসজিদের বাইরের লোকজন ভয়ে দিকবিদিক ছোটাছুটি শুরু করে এবং মসজিদের মুসল্লীরা মসজিদের গেট তালা দিয়ে নামাজ আদায় করেন। 
মসজিদে হামলার পর মসজিদের পশ্চিম পাশের বাড়িতে মানিক, মাসুদ ও জজ মিয়ার ঘরে হামলা, ভাংচুর ও মহিলাদের উপর হামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 
রাতের ঘটনায় সামনে পুলিশ থাকলেও তারা ককটেলের বিস্ফোরণের ভয়ে সামনে এগোতে পারেনি পরে বাঙ্গরা বাজার থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন, 
 বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করেছে,
 গঠনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কাউছার মিয়া, সাদির মিয়া, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ সফিকুল ইসলাম, মসজিদের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান,বাজার মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা শামিম আহমেদ, মসজিদের ক্যাশিয়ার এমদাদুল হক, হাসান,  শ্যাম্ভু পদ দেব,সাবকে চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলামের মা তাহেরা বেগম, সবুজ মেম্বারের মা নাছিমা বেগমসহ আরো অনেকে। এ ঘটনায় সন্ত্রাসীদের  বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ না নিলে যে কোন মুহূর্তে আবারো হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটতে পারে বলে বক্তারা আশংকা প্রকাশ করেন।

13 March 2024

সদর দক্ষিণ হোসেনপুরে রাতের আধারে গ্রামজুড়ে ডাকাতি

সদর দক্ষিণ হোসেনপুরে রাতের আধারে গ্রামজুড়ে ডাকাতি

সদর দক্ষিণ হোসেনপুরে রাতের আধারে গ্রামজুড়ে ডাকাতি
অনলাইন ডেস্ক//
কুমিল্লা সদর দক্ষিণে রাতের আঁধারে হোসেনপুরসহ  গ্রামজুড়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মোটরসাইকেলের মহড়া দিয়ে ডাকাতি করার অভিযোগ উঠেছে। এতে ঐ এলাকায় জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রবিবার (১০মার্চ) রাত ৩ টার দিকে উপজেলার বিজয়পুর ইউনিয়নের হোসেনপুর  গ্রামে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ডাকাতরা এই ডাকাতি করেন বলে জানা যায়।
জানা যায়, হঠাৎ ২০ টি মোটরসাইকেলে করে ৩০ জনের মতো একটি ডাকাতের বাহিনী ওই এলাকায় প্রবেশ করে বাড়িতে বাড়িতে হুমকি দিয়ে অর্থ ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। একটি বাড়ির সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা যায় যে ডাকাতরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওই এলাকার আলেক হোসেন নামের এক ব্যক্তির ঘরের দরজা ভেঙ্গে তার ঘরে প্রবেশ করে। নারীদেরকে এক রুমে নিয়ে যায় পরবর্তীতে তাদের জমানো অর্থ এবং স্বর্ণালংকার লুটপাট করে জিম্মি অবস্থায় তারা এসব নিয়ে পালিয়ে যায়। ওই বাড়িসহ আরও কয়েকটি বাড়ির আলমারির তালা ভেঙ্গে ডাকাতরা স্বর্ণ এবং লক্ষাধিক টাকা নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ওই এলাকার আলেক হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, আল্লাহর রহমতে ডাকাতরা মানুষকে মারে নাই। কিন্তু আমার অনেক আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ করেছে।
প্রসঙ্গত গত এই এলাকায় এইরকম আরও কয়েকটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, বলে যানা যায়।
ওই এলাকার বাসিন্দারা জানান, ডাকাতরা ভোর রাতে হঠাৎ মোটরসাইকেল নিয়ে এলাকায় প্রবেশ করে। আমাদের এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা হুমকি ধমকি দেয় এবং টাকা ও স্বর্নলংকার নিয়ে যায়। এই ঘটনা পুলিশকে জানানোর আগেই তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
হোসেন পুর এলাকার ইউপি সদস্য বাবুল হোসেন বলেন আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি  গ্রাম পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবীদের রাতের বেলায় পাহারাদার এর ব্যবস্থা করব। যেন এইরকম ঘটনা আর না ঘটে।

এ বিষয়ে ১নং বিজয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তানভীর হোসেন পারভেজ বলেন, আমরা এই ঘটনার বিষয়ে প্রশাসনকে জানিয়েছি। তারা এই ডাকাতদের খুঁজে আইনের আওতায় নিয়ে আসবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আমরা বিষয়টি জানার পর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সনাক্ত করার চেষ্টা করছি।
সদর দক্ষিণে রাতের আধারে হোসেনপুর গ্রামজুড়ে ডাকাতি।

সদর দক্ষিণে রাতের আধারে হোসেনপুর গ্রামজুড়ে ডাকাতি।

সদর দক্ষিণে রাতের আধারে হোসেনপুর গ্রামজুড়ে ডাকাতি।
 নিজস্ব প্রতিবেদক//
কুমিল্লা সদর দক্ষিণে রাতের আধারে হেসেনপুর গ্রামজুড়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মোটরসাইকেলের মহড়া দিয়ে ডাকাতি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

রবিবার (১০মার্চ)  রাত ৩ টার দিকে উপজেলার বিজয়পুর ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ডাকাতরা এই ডাকাতি করে। 

জানা যায়, হঠাৎ ২০ টি মোটরসাইকেলে করে ৩০ জনের মতো একটি ডাকাতের বাহিনী ওই এলাকায় প্রবেশ করে বাড়িতে বাড়িতে হুমকি দিয়ে অর্থ ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে। একটি বাড়ির সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা যায় যে ডাকাতরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওই এলাকার আলেক হোসেন নামের এক ব্যক্তির ঘরের  দরজা ভেঙ্গে তার ঘরে প্রবেশ করে। নারীদেরকে এক রুমে নিয়ে যায় পরবর্তীতে তাদের জমানো অর্থ এবং স্বর্ণালংকার লুটপাট করে জিম্মি অবস্থায় তারা এসব নিয়ে পালিয়ে যায়। ওই বাড়িসহ আরও কয়েকটি বাড়ির আলমারির তালা ভেঙ্গে ডাকাতরা স্বর্ণ এবং লক্ষাধিক টাকা নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ওই এলাকার আলেক হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, আল্লাহর রহমতে ডাকাতরা মানুষকে মারে নাই। কিন্তু আমার অনেক আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ করেছে।

ওই এলাকার বাসিন্দারা জানান, ডাকাতরা ভোর রাতে হঠাৎ মোটরসাইকেল নিয়ে এলাকায় প্রবেশ করে। আমাদের এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা হুমকি ধমকি দেয় এবং টাকা ও স্বর্নলংকার নিয়ে নেয়। পুলিশকে জানানোর আগেই তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ১নং বিজয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তানভীর হোসেন পারভেজ বলেন, আমরা এই ঘটনার বিষয়ে প্রশাসনকে জানিয়েছি। তারা এই ডাকাতদের খুঁজে আইনের আওতায় নিয়ে আসবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আমরা বিষয়টি জানার পর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সনাক্ত করার চেষ্টা করছি।

02 March 2024

কিশোর গ্যাং এর উৎপাতে বাড়ছে চুরি প্রশাসন নিশ্চুপ।

কিশোর গ্যাং এর উৎপাতে বাড়ছে চুরি প্রশাসন নিশ্চুপ।



কিশোর গ্যাং এর উৎপাতে বাড়ছে চুরি। 

অনলাইন ডেস্ক ।।
কুমিল্লা আদর্শ উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের ভূবনঘর এলাকার মাসুদ রানার নতুন বসতঘরের বৈদ্যুতিক তার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর আগেও দের লক্ষ টাকার অধিক দোকানের মালামাল চুরি হয়েছিল। সে বিষয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মাসুদ রানা।

জানা যায়, নতুন বসতবাড়ি তৃতীয় তলার বৈদ্যুতিক তার চুরি হয়েছে বলে বৈদ্যুতিক মিস্তিরিরা মাসুদ রানাকে জানালে তিনি গিয়ে দেখেন ওই ভবনের ৪ লক্ষ টাকার অধিক সকল তার চুরি হয়েছে। এতে তিনি ভেঙ্গে পড়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতা চান।

এদিকে দোকান চুরির ঘটনায় গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সন্দেহবসত একজনকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। ঘটনার সাথে সে ছেলেটি জড়িত নয় বলে তার জবানবন্দি নিয়ে পুলিশ ছেড়ে দেয়। বেশির ভাগ চুরির সঙ্গে মাদকসেবীরা জড়িত। মাদকের টাকা সংগ্রহের জন্যই তারা এসব চুরি করে। যার কারণে এলাকায় চুরির হিড়িক পড়েছে। ফলে চুরির আতঙ্কে রয়েছেন বাসিন্দারা।

এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা বলেন, এ ঘটনা স্বাভাবিক কোনো লোক এ কাজ করতে পারবেনা। যারা বৈদ্যুতিক কাজের সাথে জড়িত তারাই এটা করতে পারে।

ভুক্তভোগী মাসুদ রানা বলেন, আমার দোকান চুরি হওয়ার পর আজ আমার নতুন বসঘরের ৪ লক্ষ টাকার বেশি তার চুরি হয়েছে। যারা এ তার চুরি করেছে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক। আমি আমার ক্ষতিপূরণ পেতে চাই।

ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কামাল হোসেন বলেন, এ ঘটনাগুলো এলাকার কিছু কিশোরগ্যাং করে থাকে।আর তার চুরির বিষয়টি ব্যপারে আমরা সবাই একমত যারা বৈদ্যুতিক কাজের সাথে জড়িত তারা ছাড়া এই সুক্ষ্ম কাজ আর কেউ করতে পারবেনা।

01 March 2024

বেইলি রোডে বহুতল ভবনে আগুন, উদ্ধার ৬৫

বেইলি রোডে বহুতল ভবনে আগুন, উদ্ধার ৬৫

অনলাইন ডেস্ক //
আগুন লাগার পর ভবনটি থেকে নামতে গিয়ে ১২ জন আহত হয়েছে।

রাজধানীর বেইলি রোডের একটি ছয়তলা ভবনে আগুন লেগেছে, যেখানে একাধিক রেস্তোরাঁ ও দোকান আছে।

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটিতে আগুন লাগে।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ইনচার্জ শাহজাহান শিকদার রাত সোয়া ১২টায় জানান, সেখানে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে। ৬৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।



আগুন লাগার পর ভবনটি থেকে নামতে গিয়ে ও আগুনে ১২ জন আহত হয়েছে। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

আহতরা হলেন- বাবুর্চি দীন ইসলাম (২৮), সহকারী জুয়েল (৩০), জোবায়ের (২০), ওয়েটার আরিফ (২০), ইকবাল (৩৫), উজ্জ্বল সর্দার (২৩), রাকিব (২৫), শাকিল (২২), ওমর ফারুক (৪৩), সিজান (২৫), রাসেল (৩৫) ও ইমরান (১৪)।

ভবনটিতে কাচ্চি ভাই, ইলিয়েনসহ বেশ কয়েকটি দোকান আছে।

আহত দীন ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি সাততলা থেকে তার বেয়ে নামতে গিয়ে পড়ে গেছেন। তিনি সেই ভবনের একটি রেস্তোরাঁয় বাবুর্চি হিসেবে কাজ করেন।

ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আলাউদ্দিন বলেন, “আহতরা জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজনের পা ফ্র্যাকচার হতে পারে- আমরা এক্স-রে করার পর বলতে পারব।”


বেইলি রোডে বহুতল ভবনে আগুনে অন্তত ১১ মৃত্যু

বেইলি রোডে বহুতল ভবনে আগুনে অন্তত ১১ মৃত্যু

শাহবাগ থানার এস আই মহিদুল ইসলাম জানান, তিনি ঢাকা মেডিকেলে আসা ১১ জন নিহত ব্যক্তির

অনলাইন ডেস্ক //

রাজধানীর বেইলি রোডের ছয়তলা ভবনে আগুনে অন্তত ১১ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।

রাত একটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শাহবাগ থানার এস আই মহিদুল ইসলাম জানান, তিনি ঢাকা মেডিকেলে আসা ১১ জন নিহত ব্যক্তির ছবি তুলেছেন। ঘটনাস্থলে আরো কতজন আছে তারা তারা এখনো জানেন না।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মুহিত উদ্দিন বলেন, বেশ কয়েকজন মারা গেছেন। এখনো সংখ্যা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ইনচার্জ শাহজাহান শিকদার রাত সোয়া ১২টায় জানান, সেখানে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে। ৬৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

আগুন লাগার পর ভবনটি থেকে নামতে গিয়ে ও আগুনে ১২ জন আহত হয়েছে। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

ভবনটিতে কাচ্চি ভাই, ইলিয়েনসহ বেশ কয়েকটি দোকান আছে।

আরও আসছে…

12 February 2024

কুুমিল্লা জেলা পুলিশের কার্যক্রমে গতি আনতে গাড়ী হস্তান্তর করা হয়েছে।

কুুমিল্লা জেলা পুলিশের কার্যক্রমে গতি আনতে গাড়ী হস্তান্তর করা হয়েছে।

কুুমিল্লা জেলা পুলিশের কার্যক্রমে গতি আনতে গাড়ী হস্তান্তর করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক - কুমিল্লা জেলা পুলিশের কার্যক্রমে গতি আনতে এবং থানা এলাকা'র জনগণের জানমালের নিরাপত্তা সহ অপরাধ দমনে সক্ষমতা বৃদ্ধি'র জন্য চান্দিনা থানা'য় ০১টি নতুন ডাবল কেবিন পিক আপ হস্তান্তর করা হয়েছে। রবিবার কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার - আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার) গাড়িটি চান্দিনা থানার ওসির নিকট হস্তান্তর করে। তিনি উক্ত বিষয় প্রসঙ্গে - কুমিল্লা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম - এর - প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে। তখন আরো উপস্থিত ছিলো - কমান্ডেন্ট অফ ইন সার্ভিস মোঃ মিজান হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) খন্দকার আশফাকুজ্জামান বিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মংনেথোয়াই মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) ও অতিরিক্ত দায়িত্ব (ডিবি) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) কাজী মোঃ মতিউল ইসলাম সহ কুমিল্লা জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণ।

11 February 2024

কুমিল্লায় কভার্ডভ্যান ও সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫জন নিহত

কুমিল্লায় কভার্ডভ্যান ও সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫জন নিহত

কুমিল্লার জেলার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর কচুয়া সড়কের লক্ষ্মীপুর স্থানে কভার্ডভ্যান সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জন নিহত ও আহত হয়েছেন দুইজন।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৯ ঘটিকার সময় উপজেলার লক্ষীপ়া মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, উপজেলার মালিগাঁও ইউনিয়নের কালাসোনা গ্রামের শরফত আলীর স্ত্রী জাহানারা আক্তার (৬৫), দক্ষিণ নগর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে মনিরুজ্জামান (৪২) একই গ্রামের জিও মন্ডলের ছেলে পীযূষ মন্ডল (৩০) আনুয়া খোলা গ্রামের সরবত আলীর ছেলে শফিউল্লাহ (২৪) দরছখোলা গ্রামের অহদ মিয়ার ছেলে ইসমাইল মিয়া (২৮)। আহতরা হলেন, পেন্নাই গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে সাদিয়া আক্তার (২) নুরপুর গ্রামের মোঃ কামাল মিয়া ছেলে শরীফ (৫) আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গৌরীপুরে আনা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।

দাউদকান্দি গৌরীপুর তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, ‘দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচ জনের মরদেহ স্বজনদের নিকট হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ঘাতক কভার্ডভ্যান ও সিএনজি কে জব্দ করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ফেরদৌস রহমান জানান, কভার্ডভ্যান কচুয়া যাওয়ার পথে উল্টো পথে আসা একটি সিএনজি কে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচ জন মারা যান এবং দুই জন আহত হয়।

খবর পেয়ে দাউদকান্দি গৌরিপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতও আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সবাই
কেএমপি’র মাদক বিরোধী অভিযানে ২০০ গ্রাম গাঁজা সহ ০২ (দুই) জন মাদক কারবারি গ্রেফতার হয়েছে।

কেএমপি’র মাদক বিরোধী অভিযানে ২০০ গ্রাম গাঁজা সহ ০২ (দুই) জন মাদক কারবারি গ্রেফতার হয়েছে।

কেএমপি’র মাদক বিরোধী অভিযানে ২০০ গ্রাম গাঁজা সহ ০২ (দুই) জন মাদক কারবারি গ্রেফতার হয়েছে। 
অনলাইন ডেস্ক  - গত কয়েক ঘন্টা'য় খুলনা মহানগর পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে -  মাদক ব্যবসায়ী - ১) মনিরুল ইসলাম মনির(২৪), পিতা-নজরুল হাওলাদার, সাং-বসুপাড়া বাশতলা, থানা-সোনাডাঙ্গা মডেল, খুলনা, বাংলাদেশ। এবং ২) মোঃ হাসান মৃধা(১৯), পিতা-মোঃ জয়নাল, সাং-মীরেরডাঙ্গা, থানা-খানজাহান আলী, খুলনা, বাংলাদেশ। উক্ত দু্ষ্কৃতকারীদের মহানগর - এর - লবণচরা ও দৌলতপুর থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়েছে। উপরোক্ত মাদক কারবারিদ্বয় - এর - নিকট হতে ২০০ গ্রাম গাঁজা আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে। উক্ত সংক্রান্তে গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারিদ্বয় - এর - নামে - সংশ্লিষ্ট থানা'য় ০২ টি মাদক মামলা রুজু করা হয়েছে।

07 February 2024

নিত্যপণ্যের মজুদ এবং বেশি দামে বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে র‍্যাব।

নিত্যপণ্যের মজুদ এবং বেশি দামে বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে র‍্যাব।

নিত্যপণ্যের মজুদ এবং বেশি দামে বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে র‍্যাব।
ঢাকা রিপোর্ট অনলাইন ডেস্ক  - সূএ তথ্য মতে জানায় - ন্যায্য মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি ও অবৈধ মজুদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। একই সঙ্গে উক্ত বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা'য়ো জানিয়েছে বাহিনীটি। গত সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন উক্ত কথা বলে। তিনি আরো বলে - সরকার নির্ধারিত ও ন্যায্য মূল্যের চেয়ে বেশি দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ সকাল থেকে এখন পর্যন্ত অতিরিক্ত দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও মাংস বিক্রি করা'র অভিযোগে ২০ জন ব্যবসায়ী'র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানা কর্তৃক ৫২ কেজি গাঁজা সহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হয়েছে।

কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানা কর্তৃক ৫২ কেজি গাঁজা সহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হয়েছে।

কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানা কর্তৃক ৫২ কেজি গাঁজা সহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক
সূএ তথ্য মতে জানায় - গত ০৬/০২/২৪খ্রি: তারিখ রাত ০১.৩৫ ঘটিকা'য় - কুুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানা'য় কর্মরত এসআই(নিঃ)/শেখ মফিজুর রহমান ও সঙ্গী'য় ফোর্স সহ কোতয়ালী মডেল থানা এলাকা'য় রাত্রী'কালীন মাদক'দ্রব্য উদ্ধার ও গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল ডিউটি করা'কালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলা'র কোতয়ালী মডেল থানা'ধীন ৪নং আমরাতলী ইউপি স্থল বাঁশমঙ্গল সাকিনের বাসমঙ্গল চৌমুনী পাকা রাস্তার উপর হতে ৫২ কেজি গাঁজা সহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ রাফিন ফার রহমান প্রঃ মাটি(২৫), পিতা মৃত-শাকিল আহম্মেদ প্রঃ নিজাম উদ্দিন, মাতা-মরিয়ম বেগম প্রঃ মারিয়া আক্তার, সাং-কুচাইতলী (মধ্যপাড়া, লিটন মেম্বারের বাড়ী সংলগ্ন), থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা- কুমিল্লা, বাংলাদেশ। উক্ত দু্ষ্কৃতকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উক্ত ঘটনায় কুৃমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ,এফআইআর নং-১৬ তারিখ-০৬/০২/ ২০২৪ ইং, ধারা-৩৬(১) সারণির ১৯( গ) /৩৮ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ ইং তে মামলা রুজু করা হয়েছে।

06 February 2024

সীমান্ত এলাকার মানুষ যেন সচেতন থাকেন: বিজিবির কমান্ডার

সীমান্ত এলাকার মানুষ যেন সচেতন থাকেন: বিজিবির কমান্ডার



বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোরশেদ আলমের সংবাদ ব্রিফিং। সোমবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী কাস্টমস চেকপোস্ট এলাকায়ছবি: প্রথম আলো থেকে সংগৃহীত 

অনলাইন ডেস্ক//
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোরশেদ আলম গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৯৫ জন সদস্য আমাদের আশ্রয়ে আছেন। তার মধ্যে কয়েকজন আহত আছেন। তাঁদের আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি। আমরা তাঁদের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। তাঁদের দেখাশোনার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়ার পর বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’

আজ সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী কাস্টমস চেকপোস্ট এলাকায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়কে এ সংবাদ ব্রিফিং হয়। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোরশেদ আলম বলেন, ‘গতকাল রোববার সকালে হঠাৎ করে বিজিপি সদস্যরা সংঘর্ষের কারণে প্রাণ রক্ষায় বাংলাদেশে পালিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনামতে বিজিপি সদস্যদের অনুপ্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয় এবং তাঁদের অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি হেফাজতে আনা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের সীমান্ত এখন পর্যন্ত বন্ধ আছে। কোনো রোহিঙ্গা, কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
মোরশেদ আলম আরও বলেন, ‘আজ বেলা পৌনে তিনটার দিকে মর্টার শেলের আঘাতে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে দুজন সাধারণ মানুষ নিহত হন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা তৎক্ষণাৎ মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের কাছে কঠোর প্রতিবাদ জানাই। বিজিবি সদর দপ্তর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কাজ করে যাচ্ছে এবং মিয়ানমার সরকারের কাছে আমাদের কনসার্ন (উদ্বেগ) তারা তুলে ধরেছে। সীমান্ত এলাকার সাধারণ জনগণ যাতে সচেতন থাকেন। সীমান্ত এলাকায় লোকজন যাতে জমায়েত না হয়। সবাই যাতে নিরাপদ দূরত্বে থাকেন, আমরা সবাই সেদিকে লক্ষ রাখব।’

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোরশেদ আলম বলেন, ‘কয়েক দিন আগে উখিয়ার পালংখালী সীমান্তের অভ্যন্তরে কয়েকটি মর্টার শেল এসে পড়ে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তারপরও বিজিবি বিষয়টি নিয়ে মিয়ানমার বিজিপির কাছে প্রতিবাদলিপি পাঠায়। একই সঙ্গে সীমান্তে বিজিবির সতর্কাবস্থা সম্পর্কে অবহিত করেছি। পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করার পাশাপাশি গত শনিবার রাত থেকে তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি, ঘুমধুম এলাকায় বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) ও বিজিপির মধ্যে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করে। এ পরিস্থিতিতে সীমান্তে বিজিবির সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি কঠোর সতর্ক অবস্থান নেওয়া হয়েছে। এতে বিজিবি সফল হয়েছে।’

05 February 2024

হত্যার পর সজিব যেভাবে মিলনের মরদেহ টুকরো করে গুম করে।

হত্যার পর সজিব যেভাবে মিলনের মরদেহ টুকরো করে গুম করে।

হত্যার পর সজিব যেভাবে মিলনের মরদেহ টুকরো করে গুম করে।
অনলাইন ডেস্ক//
কুষ্টিয়ায় ব্যবসায়ী মিলন হোসেনকে হত্যার পর ৯ টুকরো করে জেলার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এস কে সজিব। ছবি: সংগৃহীত
কুষ্টিয়ায় ব্যবসায়ী মিলন হোসেন (২৭) হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ছয়জনকে আদালতে তুলে দুজনের সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। চার জনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়া হয়েছে। গ্রেফতার ৬ জনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, হত্যার পর সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এস কে সজিব নিজ হাতে মিলনের মরদেহ ৯ টুকরো করে।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে কুষ্টিয়া সদর আমলি আদালতে রিমান্ড আবেদন করার পর চার জনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়া হয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জবানবন্দিতে আসামিরা কি জানিয়েছে তা জানা যায়নি। 


শনিবার রাতে মিলনের মা শেফালি খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাত বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন। আটক ছয়জনকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছে আদালতে নেয়া হয়।
আদালতে নেয়া আসামিরা হলেন: কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়ার মৃত মিলন শেখের ছেলে সজীব শেখ (২৪), কুমারগাড়া এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে ফয়সাল আহমেদ (২৫), দেশওয়ালীপাড়ার কাজী ফরহাদ হোসেনের ছেলে কাজী লিংকন (৩২), সদর উপজেলার কান্তিনগর গ্রামের জনি প্রামাণিক (২১), হাউজিং সি ব্লকের আওলাদ খানের ছেলে ইফতি খান ও হাউজিং ডি ব্লকের সাইদুল ইসলামের ছেলে সজল ইসলাম (১৮)। সজীব জেলা ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সহ-সভাপতি। এদের মধ্যে সজল ও ইফতির সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। সোমবার তাদের রিমান্ড শুনানি হবে। বাকি সজীব, ফয়সাল, লিংকন ও জনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়া হচ্ছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মিলনের দাফনের পর তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য থানায় আসেন। নিহত মিলন হোসেনের মা শেফালি খাতুন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলা করার সময় মিলনের স্ত্রী মিমি খাতুন, দুলাভাই আশরাফুল ইসলামসহ গ্রামের আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। 
যেভাবে মিলনকে হত্যা করা হয়

থানায় জিডির পর থেকে লাশের টুকরো উদ্ধার ও জড়িতদের ধরার অভিযানে পুরো নেতৃত্ব দেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস ও মিডিয়া) পলাশ কান্তি নাথ। পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তাসহ আরও ২/৩ জন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত জানা গেছে। 

গ্রেফতার ৬ জনের বরাত দিয়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তা জানান, বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে এগারটার দিকে ব্যবসায়ী অংশীদার সজল ফোন করে মিলনকে তাদের অফিসে (মিলনের) ডেকে নেয়। সেখানে আগে থেকে সজীবসহ আরও কয়েকজন অবস্থান নিয়েছিল। ওই কার্যালয়ে সজীব মিলনের কাছে চাঁদা দাবি করে। ভয়ভীতি দেখাতে তাকে মারধর করে। একপর্যায়ে মুখে গামছা গুজে নাক চেপে ধরে। ঘটনাচক্রে মিলন মারা যায়।
পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, এসময় অফিসের দুটি কক্ষে সজীবদের অন্তত ১০ থেকে ১১ জন সদস্য ছিল। সেখানে দুটি কক্ষে তারা অবস্থান নেয়। লাশ গুম করতে সজীব পরিকল্পনার কথা জানায়। এসময় একজনকে সঙ্গে নিয়ে অফিসে তালা লাগিয়ে বাইরে চলে যায়। বাকিরা ঘরের ভেতর থাকে। দেড় ঘণ্টা ধরে শহরের তিনটি স্থানে দোকান থেকে কাটার যন্ত্র হেক্সো ব্লেড, পলিথিন ব্যাগ ও রক্ত পরিষ্কার করার জন্য জীবানুনাশক কেনে। তারা আবার বিকেল পাঁচটার দিকে অফিসে যায়। সেখানে গিয়ে দুর্বল চিত্তের ৪/৫ জনকে পাশের কক্ষে রাখে। সজীবসহ ৪/৫ জন মিলে এক কক্ষের বাথরুমে মরদেহ নিয়ে টুকরো করার কাজ করে। প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে কেটে ব্যাগে ভরে
হত্যার পর সজিব যেভাবে মিলনের মরদেহ টুকরো করে গুম করে
কুষ্টিয়ায় ব্যবসায়ী মিলন হোসেন (২৭) হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ছয়জনকে আদালতে তুলে দুজনের সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। চার জনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়া হয়েছে। গ্রেফতার ৬ জনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, হত্যার পর সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এস কে সজিব নিজ হাতে মিলনের মরদেহ ৯ টুকরো করে।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে কুষ্টিয়া সদর আমলি আদালতে রিমান্ড আবেদন করার পর চার জনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়া হয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জবানবন্দিতে আসামিরা কি জানিয়েছে তা জানা যায়নি। 


শনিবার রাতে মিলনের মা শেফালি খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাত বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন। আটক ছয়জনকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছে আদালতে নেয়া হয়।


আদালতে নেয়া আসামিরা হলেন: কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়ার মৃত মিলন শেখের ছেলে সজীব শেখ (২৪), কুমারগাড়া এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে ফয়সাল আহমেদ (২৫), দেশওয়ালীপাড়ার কাজী ফরহাদ হোসেনের ছেলে কাজী লিংকন (৩২), সদর উপজেলার কান্তিনগর গ্রামের জনি প্রামাণিক (২১), হাউজিং সি ব্লকের আওলাদ খানের ছেলে ইফতি খান ও হাউজিং ডি ব্লকের সাইদুল ইসলামের ছেলে সজল ইসলাম (১৮)। সজীব জেলা ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সহ-সভাপতি। এদের মধ্যে সজল ও ইফতির সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। সোমবার তাদের রিমান্ড শুনানি হবে। বাকি সজীব, ফয়সাল, লিংকন ও জনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়া হচ্ছে।

কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মিলনের দাফনের পর তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য থানায় আসেন। নিহত মিলন হোসেনের মা শেফালি খাতুন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলা করার সময় মিলনের স্ত্রী মিমি খাতুন, দুলাভাই আশরাফুল ইসলামসহ গ্রামের আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।

যেভাবে মিলনকে হত্যা করা হয়

থানায় জিডির পর থেকে লাশের টুকরো উদ্ধার ও জড়িতদের ধরার অভিযানে পুরো নেতৃত্ব দেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস ও মিডিয়া) পলাশ কান্তি নাথ। পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তাসহ আরও ২/৩ জন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত জানা গেছে। 

গ্রেফতার ৬ জনের বরাত দিয়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তা জানান, বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে এগারটার দিকে ব্যবসায়ী অংশীদার সজল ফোন করে মিলনকে তাদের অফিসে (মিলনের) ডেকে নেয়। সেখানে আগে থেকে সজীবসহ আরও কয়েকজন অবস্থান নিয়েছিল। ওই কার্যালয়ে সজীব মিলনের কাছে চাঁদা দাবি করে। ভয়ভীতি দেখাতে তাকে মারধর করে। একপর্যায়ে মুখে গামছা গুজে নাক চেপে ধরে। ঘটনাচক্রে মিলন মারা যায়।

পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, এসময় অফিসের দুটি কক্ষে সজীবদের অন্তত ১০ থেকে ১১ জন সদস্য ছিল। সেখানে দুটি কক্ষে তারা অবস্থান নেয়। লাশ গুম করতে সজীব পরিকল্পনার কথা জানায়। এসময় একজনকে সঙ্গে নিয়ে অফিসে তালা লাগিয়ে বাইরে চলে যায়। বাকিরা ঘরের ভেতর থাকে। দেড় ঘণ্টা ধরে শহরের তিনটি স্থানে দোকান থেকে কাটার যন্ত্র হেক্সো ব্লেড, পলিথিন ব্যাগ ও রক্ত পরিষ্কার করার জন্য জীবানুনাশক কেনে। তারা আবার বিকেল পাঁচটার দিকে অফিসে যায়। সেখানে গিয়ে দুর্বল চিত্তের ৪/৫ জনকে পাশের কক্ষে রাখে। সজীবসহ ৪/৫ জন মিলে এক কক্ষের বাথরুমে মরদেহ নিয়ে টুকরো করার কাজ করে। প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে কেটে ব্যাগে ভরে।

আরও পড়ুন: সন্তানের সামনে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা!

বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে চারটি মোটরসাইকেলযোগে সাতজন ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে আসে। বাকিদের সজীব যে যার মতো বাড়ি চলে যেতে বলে এবং বিষয়টি কাউকে না জানাতে হুমকি দেয়। পুলিশ শহরের কয়েকটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে তাতে দেখা গেছে রাত ৯টা ৩২ মিনিটের দিকে চারটি মোটরসাইকেলে সাতজন শহরের ছয় রাস্তা মোড় হয়ে হরিপুর সেতু নিয়ে পদ্মার চরের দিকে চলে যায়। রাত ১১টার মধ্যে লাশের টুকরোগুলো পদ্মার চরে বালু চাপা দিয়ে যে যার মতো বাড়ি চলে যায়। তবে সবাই স্বাভাবিকভাবে শহরে চলাফেরা করতে থাকে। কেউ পালানোর চেষ্টা করেনি বলে পুলিশ জানিয়েছে।


জিডির সূত্র ধরে সজলকে থানায় ডেকে নেয় পুলিশ। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। কিন্তু বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সারাদিনেও সে কোন তথ্য জানায়নি। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে সজল থানায় তার এক পরিচিত পুলিশ সদস্যকে মিলনকে হত্যার কথা জানায়। এরপর বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানতে পারেন। শুক্রবার অভিযান চালিয়ে চার ঘণ্টার মধ্যে সজীবসহ আরও চারজনকে শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে  গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে থানায় নেয়। সজীব আটকের পর তার ফোনে বিভিন্ন সময়ে কয়েকজন নেতা ফোন করে। এসময় ফোনটি পুলিশের হেফাজতে ছিল। তবে আটকরা মিলনকে হত্যার কথা অস্বীকার করতে থাকে।

শুক্রবার রাতে সজীব কান্না করতে করতে একপর্যায়ে সব ঘটনা পুলিশকে জানায়। ভোরের দিকে লাশের টুকরা উদ্ধারে যায় অন্তত ৫০ সদস্যের পুলিশ টিম। মরদেহ গুমের পর লাশ টুকরো করতে ব্যবহৃত যন্ত্র বাধবাজার এলাকায় একটি পুকুরে ফেলে দেয় এবং মিলনের ব্যবহৃত মোবাইলফোনও জঙ্গলে ফেলে দেয়। সেই ফোন এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস ও মিডিয়া) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ঘটনায় জড়িত থাকায় এখন পর্যন্ত ১৩/১৪ জনের নাম পাওয়া গেছে। আরও অধিকতর যাচাই বাছাই চলছে। সব আসামিদের ধরা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। 

পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিরা সবাই একে অপরের পরিচিত। মিলন হাউজিং এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো। একই এলাকায় আরেকটি বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে অফিস হিসেবে অনলাইনে কাজ করতেন।

এদিকে জানা যায়, ইয়াসির আরাফাত তুষার ও সাদ আহাম্মেদের কমিটিতে ২০১৭-১৮ সালের দিকে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদকের পদ পায় এস কে সজিব। এরপর থেকেই কিশোর গ্যাং গঠন করে এলাকায় চাঁদাবাজি, মারধর, মাদক কারবারসহ নানা অপকর্ম শুরু করেন তিনি।

নানা অপরাধে জড়িত হওয়ার পরও জেলা ছাত্রলীগের সবশেষ কমিটিতে সহ-সভাপতির পদ পায় সজিব। এরপর তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। শহরে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে দেখা যায় তাকে। তবে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জের ওপর হামলাসহ নানা অপকর্মের কারণে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।