11 February 2024
31 August 2023
দুই সতিনের মাদকের সিন্ডিকেট!
দুই সতিনের মাদকের সিন্ডিকেট!
রাজবাড়ীর সদর উপজেলায় ফেনসিডিল ও মদসহ দুই সতীনসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার খানখানাপুর ছোট ব্রিজ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় জব্দ করা হয় তাদের বহনকরা প্রাইভেটকারটি।
আটকরা হলেন- নাটোরের সিংড়া উপজেলার রাখালগাছা গ্রামের রোকন ওরফে আব্দুলাহর দুই স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম (৪০) ও সাথী বেগম (২৮), ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার ঘোনা গ্রামের মৃত সাত্তারের স্ত্রী নুর নাহার (৪৯) ও শেরপুরের নকলা উপজেলার রামেরকান্দি গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে আরিফ হোসেন (৩৫)।
আহলাদিপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম জানান, নাটোরের সিংড়া উপজেলার রাখালগাছা গ্রামের রোকন ওরফে আব্দুলাহ সাভারের আশুলিয়ার জামগড়ার দুই সতিন দেলোয়ারা বেগম ও সাথী বেগমকে নিয়ে ভাড়া থাকেন। দুই স্ত্রীকে আলাদা ভাড়া বাসায় রাখেন রোকন। দুজনকে দিয়ে মাদক ব্যবসা করান তিনি। তাদের রয়েছে বড় মাদকের সিন্ডিকেট। দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকায় গিয়ে ফেনসিডিল ও মদসহ বিভিন্ন মাদক সংগ্রহ করেন তারা। আশুলিয়ার জামগড়ায় নিজেদের ভাড়া বাসায় এনে ঢাকাসহ আশেপাশের এলাকায় চড়া দামে বিক্রি করেন।
ওসি বলেন, দুই সতিন তাদের সহযোগী নুর নাহারকে নিয়ে যশোরের ঝিকরগাছা থেকে ১৭৫ বোতল ফেনসিডিল ও দুই বোতল ভারতীয় মদ সংগ্রহ করে প্রাইভেটকারে করে আশুলিয়ার জামগড়ায় নিজেদের ভাড়া বাসায় যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে খানখানাপুর ছোট ব্রিজ এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে চেকপোস্ট পরিচালনা করার সময় তাদের প্রাইভেটকারটি থামায় পুলিশ। প্রাইভেটকারটি তল্লাশি করে দুই সতিন ও তাদের সহযোগীর পায়ের কাছ থেকে দুটি ব্যাগভর্তি ১৭৫ বোতল ফেনসিডিল ও দুই বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে তাদের তিনজনকে ও প্রাইভেটকারের চালককে আটক ও প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়।
এদিকে আটকদের বিরুদ্ধে আহলাদিপুর হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এম. আল মামুদ বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন।
30 August 2023
মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র করে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
29 August 2023
ময়মনসিংহে সড়কে চাঁদাবাজি, দৃশ্যমান তৎপরতা নেই পুলিশের
ময়মনসিংহে সড়কে চাঁদাবাজি, দৃশ্যমান তৎপরতা নেই পুলিশের
সিটি কর্পোরেশন ও সমিতির নাম ভাঙিয়ে ময়মনসিংহ নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে সিএনজি অটোরিকশা থেকে অবৈধভাবে আদায় করা হচ্ছে চাঁদা। চালকদের অভিযোগ, চাঁদা না দিলে দিনের বেলায় প্রকাশ্যেই গালিগালাজসহ নির্যাতন করে আদায়কারীরা। অথচ কার্যকর কোন পদক্ষেপ না নিয়ে ‘অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসেই’ সীমাবদ্ধ পুলিশ।
রাস্তায় চাঁদাবাজির বিষয়ে একরকম নিরুপায় ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, কোন ধরনের চাঁদাবাজির খবর পেলে তারা পুলিশের ক্রাইম বিভাগকে জানান। তবে, দিনের বেলায় প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি রোধে তেমন তৎপরতা নেই পুলিশের।
ময়মনসিংহ নগরীর শম্ভুগঞ্জ চৌরাস্তা মোড়ে সিএনজি অটোরিকশা থেকে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করে কয়েকজন যুবক। সকাল, বিকেল কিংবা রাত-সমানভাবেই চলে চাঁদা আদায়। নগরীর কেওয়াটখালী থেকে বাইপাস যাওয়ার রাস্তায় একই চিত্র। সিটি কর্পোরেশনের কথা বলে আদায় করা হচ্ছে অবৈধ চাঁদা। সময় সংবাদের উপস্থিতি টের পেয়ে একে একে সরে পড়ে চাঁদা আদায়কারীরা।
এই দুই পয়েন্ট ছাড়াও যানবাহন থেকে নিয়মিত চাঁদা নেয়া হচ্ছে আকুয়া-রহমতপুর বাইপাস সড়ক, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রোড ও চরপাড়া মোড়ে।
চালকদের অভিযোগ, প্রতিটি পরিবহনকেই নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে প্রতিদিন হাজার খানেক টাকা চাঁদা দিতে হয়। না দিলে প্রকাশ্যেই করা হয় নির্যাতন।
টাকা নেয়ার সময় চালক বা হেলপারকে দেয়া হয় একটি রিসিট। মূলত একটি সংগঠনের অফিস পরিচালনা ব্যয়সহ নানা খাতে খরচের যোগান দেয়ার কথা বলা হয়।
এ বিষয়ে আরও জানতে সময় সংবাদ অনুসন্ধান চালায় নগরীর তিনটি পয়েন্টে। শম্ভুগঞ্জ ও কেওয়াটখালীতে সময়ের টিম দেখে সটকে পড়লেও নগরীর চরপাড়া মোড়ে সময় সংবাদের মুখোমুখি হয় চাঁদা আদায়কারীরা। তাদের দাবি, ময়মনসিংহ সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি লিয়াকত আলীর নির্দেশেই চাঁদা তোলেন তারা। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে, চাঁদা আদায়ে সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন শ্রমিক নেতা লিয়াকত আলী।
নগরের এই চাঁদাবাজি বন্ধে কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখছে পুলিশ প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনের- এমন প্রশ্নের জবাবে দুই সংস্থাই বলছে, দ্রুত জোরালো পদক্ষেপ নেয়া হবে।
তবে, সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু জানান, চাঁদাবাজি বন্ধে জেলা পুলিশের সঙ্গে কাজ করছে সিটি কর্পোরেশন।
প্রতিদিন কী পরিমাণ চাঁদা ওঠে তার কোন পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্টদের দাবি, কয়েক হাজার অটোরিকশা ও সিএনজি থেকে প্রতিদিন আদায় করা হয় বিভিন্ন অঙ্কের টাকা।
28 August 2023
বন্ধুকে ইয়ারফোনের নামে ইয়াবা উপহার!
বন্ধুকে ইয়ারফোনের নামে ইয়াবা উপহার!
রাজধানীতে ইয়াবাসহ মো. জাহিদ হাসান দিপু (২০) ও মো. সোহান আলী (২০) নামে দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার (২৭ আগস্ট) রাত ৯টায় মিরপুর মডেল থানার ৬ নং সেকশনের সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ২য় তলা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাদেরকে।
গ্রেফতার দুইজনই একটি বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী। এই ইয়াবা তাদের আরেক বন্ধুর কাছে উপহার হিসেবে পাঠাচ্ছিলেন! ঝুঁকি এড়াতে সেই ইয়াবা যাচ্ছিল ইয়ারফোনের নামে, ইয়ারফোনের প্যাকেটে!
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোহসীন সময় সংবাদকে জানান, গ্রেফতার দুইজন ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স ট্রেড অ্যান্ড টেকনোলজি নামের একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী। তারা একই মেসে থাকতেন। সেখানেই তাদের বন্ধুত্ব। বর্তমানে তাদের কলেজ বন্ধ থাকায় এক বন্ধু চলে যান মেহেরপুর। সেই বন্ধুর জন্যই উপহার হিসেবে ইয়াবা পাঠাচ্ছিলেন দিপু ও সোহান। কেউ যাতে সন্দেহ না করে তাই তারা One Plus, Bullets Wireless Z2 ইয়ারফোনের মোড়কে ইয়াবাগুলো পাঠাচ্ছিলেন।
ঝুঁকি এড়াতে তারা সেই প্যাকেট নিয়ে যান সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে। কিন্তু কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মীদের সন্দেহ হলে তারা পুলিশকে অবহিত করেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে। এরপর ইয়ারফোনের প্যাকেট খুলে ১০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
27 August 2023
কুমিল্লায় চুরির অপবাদে যুবককে ঝুলিয়ে মারধর, ভিডিও ভাইরাল; ইউপি সদস্য আটক
20 August 2023
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ২০ টাকা নিয়েতর্কের এক পর্যায়ে ঘুসিতে একব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
11 August 2023
কুমিল্লায় পরোকিয়ার জেরে যুবককে হত্যা ; স্বামী -স্ত্রী গ্রেফতার
10 August 2023
আলসারের রোগীকে ক্যানসার বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ
খুলনা নগরীর টুটপাড়া এলাকার মেধাবী ছাত্র আশিকুর রহমান। কিছু শারীরিক জটিলতার কারণে ২৩ মার্চ খুলনা নগরীর সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. জওহর লাল সিংহের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গ্যাস্ট্রোলিভার অ্যান্ড কোলন রেক্টাল রিসার্স সেন্টারে যান তিনি।
সেখানে কোলোনোস্কোপি করে ডা. জওহর লাল সিংহ জানান আশিকের ক্যানসার হয়েছে। দাবি করেন অস্ত্রোপচারে লাগবে আড়াই লাখ টাকা।
কিন্তু ঘটনাটি এত সাদামাটা নয়। ঘটনার বিস্তারিত শুনলে গা শিউরে উঠবে যে কারও। জানা যাবে প্রাণরক্ষাকারী এমন পেশায় কীভাবে ভুয়া রিপোর্ট বানিয়ে কসাই হয়ে ওঠেন অসাধু চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকের ধারণা আরও পোক্ত করতে রোগীর নমুনা পাঠানো হয় বেসরকারি হাসপাতাল ল্যাবএইডে। নির্ধারিত ২৬ তারিখে রিপোর্ট দেওয়ার কথা থাকলেও ৩০ মার্চ ল্যাবএইডের একটি রিপোর্টের ফটোকপি দেখিয়ে ডা. জওহর লাল জানান আশিকের ভয়াবহ ক্যানসার হয়েছে। দ্রুত অপারেশন না করালে রোগীকে বাঁচানো যাবে না।
ইউটিউব লিংক www.youtube.com/@AHTV7170
রিপোর্টের ফটোকপি দেখে কিছুটা খটকা লাগে রোগী আশিকের বাবা আইয়ুব আলীর। মূল রিপোর্ট দেখতে চাইলে জানানো হয়, এটি দেওয়া যাবে না- লাগবে অপারেশনের কাজে।
এরপর সেখানে অপারেশন না করিয়ে, আশিককে নিয়ে যাওয়া হয় ভারতের ভেলোরের একটি হাসপাতালে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ক্যানসার নয়, আলসার ধরা পড়ে। ঘটনা এখানেই শেষ নয় বরং শুরু হলো।
ফেসবুক লিংক www.Facebook.com/ahtv7170
ছেলের প্রাণঘাতী ক্যানসার নেই শুনে আনন্দিত হলেও নিজ দেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ এনে ডা. জওহর লাল সিংহের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠান আশিকের বাবা আইয়ুব আলী।
তবে ওই চিকিৎসক অভিযোগ অস্বীকার করে পুরো দায় চাপান বায়োপ্সি রিপোর্ট করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ল্যাবএইডের ওপর।
ল্যাবএইড জানায়, ঢাকা থেকে তাদের পাঠানো পিডিএফ রিপোর্টে কোথাও ক্যানসারের বিষয়টি উল্লেখ নেই। বরং আলসারের কথা লেখা আছে।
এ বিষয়ে ল্যাবএইড খুলনা শাখার ইনচার্জ মো. জাকারিয়া বলেন, ‘ল্যাবএইড এ ধরনের ভুল রিপোর্টের সঙ্গে কখনই জড়িত নয়। বিএমএ যে সিদ্ধান্ত নেবে তার সঙ্গে আমরা আছি।’
এরপরই রোগীর বাবা অভিযোগ করেন, মূল রিপোর্ট এডিট করে আলসার শব্দ মুছে ক্যানসার লিখে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিতে চেয়েছিলেন ডা. জওহর লাল। তার বিরুদ্ধে বিচারের দাবি জানান তিনি।
রোগীর আশিকের বাবা আইয়ুব আলী বলেন, ‘টাকার লালসায় ভুল তথ্য দিয়ে জাল কাগজ তৈরি করে ওই চিকিৎসক অপারেশন করে আমার ছেলেকে হত্যা করতে চেয়েছেন। চিকিৎসক সমাজের কলঙ্ক ডা. জওহর লাল সিংহ যেন আর চিকিৎসা দিতে না পারেন, তার যেন কঠোর শাস্তি হয়।’
অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেন জওহর লাল সিংহ। পুরো দায় চাপান বায়োপ্সি রিপোর্ট করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ল্যাবএইডের ওপর।
তিনি বলেন, ‘আমি যদি কোনো ভুল করে থাকি তবে বিধি মোতাবেক যে ব্যবস্থা হওয়ার তা হবে। মেডিকেল সায়েন্সে এমন অনেক সময় হয়ে থাকে, মতভেদ হয়। ডায়াগনস্টিক রিপোর্ট অনেক সময় ভুল হওয়ার জন্য চিকিৎসক ও রোগীদের খেসারত দিতে হয়।
ভুক্তভুগী পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে খুলনা জেলা বিএমএ এ বিষয়ে তদন্ত করে। বিএমএর একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এ ঘটনায় তদন্তে স্পষ্টভাবে জওহর লাল সিংহের প্রতারণার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন।
যদিও খুলনা বিএমএ সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম এ বিষয়ে কৌশলী জবাব দেন।
তিনি বলেন, ‘বিএমএ বিশেষজ্ঞ দল দিয়ে তদন্ত করছে। ল্যাবএইড মিথ্যা রিপোর্ট দিয়েছে নাকি চিকিৎসকের পক্ষ থেকে প্রতারণা করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’