29 August 2023

ময়মনসিংহে সড়কে চাঁদাবাজি, দৃশ্যমান তৎপরতা নেই পুলিশের

ময়মনসিংহে সড়কে চাঁদাবাজি, দৃশ্যমান তৎপরতা নেই পুলিশের

সিটি কর্পোরেশন ও সমিতির নাম ভাঙিয়ে ময়মনসিংহ নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে সিএনজি অটোরিকশা থেকে অবৈধভাবে আদায় করা হচ্ছে চাঁদা। চালকদের অভিযোগ, চাঁদা না দিলে দিনের বেলায় প্রকাশ্যেই গালিগালাজসহ নির্যাতন করে আদায়কারীরা। অথচ কার্যকর কোন পদক্ষেপ না নিয়ে ‘অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসেই’ সীমাবদ্ধ পুলিশ।

ময়মনসিংহ শহরের রাস্তায় এভাবেই প্রকাশ্যে চলে চাঁদাবাজি। ছবি: সময় সংবাদ
ময়মনসিংহ শহরের রাস্তায় এভাবেই প্রকাশ্যে চলে চাঁদাবাজি। ছবি


রাস্তায় চাঁদাবাজির বিষয়ে একরকম নিরুপায় ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, কোন ধরনের চাঁদাবাজির খবর পেলে তারা পুলিশের ক্রাইম বিভাগকে জানান। তবে, দিনের বেলায় প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি রোধে তেমন তৎপরতা নেই পুলিশের।


ময়মনসিংহ নগরীর শম্ভুগঞ্জ চৌরাস্তা মোড়ে সিএনজি অটোরিকশা থেকে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করে কয়েকজন যুবক। সকাল, বিকেল কিংবা রাত-সমানভাবেই চলে চাঁদা আদায়। নগরীর কেওয়াটখালী থেকে বাইপাস যাওয়ার রাস্তায় একই চিত্র। সিটি কর্পোরেশনের কথা বলে আদায় করা হচ্ছে অবৈধ চাঁদা। সময় সংবাদের উপস্থিতি টের পেয়ে একে একে সরে পড়ে চাঁদা আদায়কারীরা।

এই দুই পয়েন্ট ছাড়াও যানবাহন থেকে নিয়মিত চাঁদা নেয়া হচ্ছে আকুয়া-রহমতপুর বাইপাস সড়ক, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রোড ও চরপাড়া মোড়ে। 



চালকদের অভিযোগ, প্রতিটি পরিবহনকেই নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে প্রতিদিন হাজার খানেক টাকা চাঁদা দিতে হয়। না দিলে প্রকাশ্যেই করা হয় নির্যাতন। 

টাকা নেয়ার সময় চালক বা হেলপারকে দেয়া হয় একটি রিসিট। মূলত একটি সংগঠনের অফিস পরিচালনা ব্যয়সহ নানা খাতে খরচের যোগান দেয়ার কথা বলা হয়।

 

ময়মনসিংহ শহরে সিএনজিচালিত এক অটোরিকশার চালকের কাছ থেকে প্রকাশ্যে চাঁদা নিয়ে রিসিট দিচ্ছেন এক চাঁদা আদায়কারী। ছবি


এ বিষয়ে আরও জানতে সময় সংবাদ অনুসন্ধান চালায় নগরীর তিনটি পয়েন্টে। শম্ভুগঞ্জ ও কেওয়াটখালীতে সময়ের টিম দেখে সটকে পড়লেও নগরীর চরপাড়া মোড়ে সময় সংবাদের মুখোমুখি হয় চাঁদা আদায়কারীরা। তাদের দাবি, ময়মনসিংহ সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি লিয়াকত আলীর নির্দেশেই চাঁদা তোলেন তারা। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে, চাঁদা আদায়ে সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন শ্রমিক নেতা লিয়াকত আলী।




নগরের এই চাঁদাবাজি বন্ধে কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখছে পুলিশ প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনের- এমন প্রশ্নের জবাবে দুই সংস্থাই বলছে, দ্রুত জোরালো পদক্ষেপ নেয়া হবে।

তবে, সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু জানান, চাঁদাবাজি বন্ধে জেলা পুলিশের সঙ্গে কাজ করছে সিটি কর্পোরেশন।

প্রতিদিন কী পরিমাণ চাঁদা ওঠে তার কোন পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্টদের দাবি, কয়েক হাজার অটোরিকশা ও সিএনজি থেকে প্রতিদিন আদায় করা হয় বিভিন্ন অঙ্কের টাকা।



শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: