গণতন্ত্র শেখাতে আসবেন না, বিদেশিদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
রক্ত দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা বাংলাদেশকে গণতন্ত্র শেখাতে আসবেন না বলে বিদেশিদের হুঁশিয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণতন্ত্র নিয়ে উতলা হওয়া দেশগুলোকে জিয়া, খালেদা ও এরশাদের শাসনামলের দিকে নজর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের বিভিন্ন নাজুক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর ভূমিকার সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৩০ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিদেশিদের উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিজেদের পদলেহন করবে এমন সরকার চায় কিছু মোড়ল। ইউক্রেনও সেই মোড়লের বন্ধু হয়েছিল। এখন তারা (ইউক্রেন) বুঝতে পারছে। সেখানে আজ কী অবস্থা সেটি সারা বিশ্ব দেখছে। সেখানে নারী-শিশুসহ সবাই নির্যাতিত হচ্ছে। বড় দেশগুলো বন্ধু হলে ছোট দেশের শত্রুর অভাব হয় না।’
গণতন্ত্র শেখাতে আসবেন না, বিদেশিদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
রক্ত দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা বাংলাদেশকে গণতন্ত্র শেখাতে আসবেন না বলে বিদেশিদের হুঁশিয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণতন্ত্র নিয়ে উতলা হওয়া দেশগুলোকে জিয়া, খালেদা ও এরশাদের শাসনামলের দিকে নজর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের বিভিন্ন নাজুক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর ভূমিকার সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি সময় সংবাদ
বাংলাদেশের বিভিন্ন নাজুক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর ভূমিকার সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি সময় সংবাদ
দেবাশীষ রায়
বুধবার (৩০ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিদেশিদের উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিজেদের পদলেহন করবে এমন সরকার চায় কিছু মোড়ল। ইউক্রেনও সেই মোড়লের বন্ধু হয়েছিল। এখন তারা (ইউক্রেন) বুঝতে পারছে। সেখানে আজ কী অবস্থা সেটি সারা বিশ্ব দেখছে। সেখানে নারী-শিশুসহ সবাই নির্যাতিত হচ্ছে। বড় দেশগুলো বন্ধু হলে ছোট দেশের শত্রুর অভাব হয় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমেরিকা আজ এত মানবাধিকার-গণতন্ত্রের কথা বলে। কিন্তু আমার বাবার খুনি রশিদ আমেরিকায় আছে। তাদের এত করে বলার পরও খুনিকে ফেরত দেয়া হয় না। কেন দেয় না? আমাদের কি বিচার পাওয়ার অধিকার নেই? মানবাধিকার নেই? তারাই এখন গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী হয়ে উঠেছে।’
দেশকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতি অশান্ত করে তুলতে দেশের বাইরে পাচার করা টাকা কাজে লাগাচ্ছে বিএনপি। বিদেশে বসে লুটপাটের টাকা ছড়িয়ে দেশকে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র করছে।
মহানগরের জ্যেষ্ঠ নেতাদের পর বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগপ্রধান। তিনি আরও বলেন, অবৈধ রাজনৈতিক দলের কাছে গণতন্ত্রের বার্তা শোনা দুর্ভাগ্যজনক।
জিয়াউর রহমানের লাশ না থাকার পরও সংসদ ভবন এলাকায় বিএনপি নেতারা কার কবরে শ্রদ্ধা জানান, সেই প্রশ্নও তোলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দোহাই দিয়ে সরব হওয়া বিদেশি শক্তিগুলোকে ইঙ্গিত করে সরকার প্রধানের স্পষ্ট আহ্বান, চোখ রাখতে হবে অতীতের বাংলাদেশেও।
বিরোধীপক্ষের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের কিছু প্রভু আছে, তারা আবার একই সঙ্গে সুর মেলায়। তাদের প্রভুরা বলছে, বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র নাকি প্রতিষ্ঠিত করতেই হবে। সেসব লোকের কাছে বা সেসব দেশের লোকদের কাছে আমার প্রশ্ন: যারা বাংলাদেশের গণতন্ত্র খুঁজে বেড়ায়, জিয়াউর রহমান যখন জাতির পিতাকে হত্যা করে মার্শাল ল’ জারি করে ক্ষমতা দখল করেছিল, যখন এরশাদ মার্শাল ল’ জারি করে ক্ষমতা দখল করেছিল, তখন কারা কোথায় ছিল?’
‘আজ তারা নির্বাচন সুষ্ঠু চায়। জিয়া-এরশাদ-খালেদা যে নির্বাচন করেছিল তা তো আমরা দেখেছি। জিয়াউর রহমানের তিন তিনটি নির্বাচন, বিএনপির চারটি নির্বাচনে কী হয়েছিল সেটি আমরা দেখেছি। তখন তারা কোথায় ছিল,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
0 coment rios: