28 August 2023

তারেকের বক্তব্য সরানোর নির্দেশহট্টগোলের মধ্যে এজলাস ছাড়লেন দুই বিচারপতি

তারেকের বক্তব্য সরানোর নির্দেশহট্টগোলের মধ্যে এজলাস ছাড়লেন দুই বিচারপতি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দেয়াকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টে বিএনপি ও আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল

তারেকের বক্তব্য সরানোর নির্দেশ

হট্টগোলের মধ্যে এজলাস ছাড়লেন দুই বিচারপতি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দেয়াকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টে বিএনপি ও আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোলের মধ্যে এজলাস ছাড়লেন বিচারপতিরা এতে প্রয় আধা ঘণ্টা কোর্টে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে বিচারপতিরা এজলাস ছেড়ে খাস কামরায় চলে যান।

সোমবার (২৮ আগস্ট) সকালে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে অনলাইন থেকে তারেক রহমানের বক্তব্য সরাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দেন। এসময় আইনজীবীরা হট্টগোল এবং হইচই শুরু করেন।


এতে প্রয় আধা ঘণ্টা কোর্টে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে বিচারপতিরা এজলাস ছেড়ে খাস কামরায় চলে যান।
 
এরইমধ্যে হাইকোর্টের এ বেঞ্চের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির কাছে অনাস্থা জানিয়েছেন বিএনপির আইনজীবীরা।
 
এদিকে এ নির্দেশের পরে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে তারেক রহমানের সব বক্তব্য সরাতে বিটিআরসিকে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছেন হাইকোর্ট।
 
এর আগে সকালে পলাতক উল্লেখ করে তারেক রহমানের সাম্প্রতিক দেয়া সব বক্তব্য ফেসবুক, ইউটিউব থেকে সরানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। একইসঙ্গে তার বক্তব্য প্রচার বন্ধ করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন করা হয়।
 
 
আইনজীবী কামরুল ইসলাম, সানজিদা খানম, অ্যাডভোকেট নাসরিন সিদ্দিকা লিনা এ আবেদন করেন। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির এ নেতার বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত রুলে সম্পূরক আবেদন করা হয়।
 
এর আগে গত ২২ আগস্ট গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারেকের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত রুলে শুনানির জন্য কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আর ২৩ আগস্ট এটি কার্যতালিকায় রাখার কথাও বলা হয়।
 
আদালতে রিটের পক্ষে ওইদিন (২২ আগস্ট) শুনানি করেন আইনজীবী কামরুল ইসলাম, সানজিদা খানম ও অ্যাডভোকেট নাসরিন সিদ্দিকা লিনা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
 
 
এদিকে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত রুল শুনানি নিয়ে এজলাস কক্ষে শুনানির একপর্যায়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। শুনানির একপর্যায়ে বিএনপির ব্যারিস্টার কায়সার কামাল শুনানির সময় পিছিয়ে বুধবার ধার্য করার কথা বলেন। এসময় কায়সার কামালের উদ্দেশে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, শুনানি কখন হবে সেটি আপনি বলার কে? এসময় উপস্থিত বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা হইচই শুরু করেন। পরে আদালতের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
 
গত ১৮ আগস্ট হাইকোর্টের নির্দেশে দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকায় তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার সংক্রান্ত রুলের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এছাড়া তারেক রহমানকে না পেয়ে তার বাড়ির দরজায় নোটিশও সাঁটানো হয়।  
 
তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ আগস্ট তার সংশোধিত গুলশানের ঠিকানায় রুলের নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ সময় আদালত প্রয়োজনে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও দিতে বলেন। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
 
আইনের চোখে পলাতক থাকায় ২০১৫ সালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধ করে নির্দেশ দেন আদালত। বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের আদেশে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ সব ধরনের মিডিয়ায় এ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন।
 
 
তবে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় হয়ে ওঠেন তারেক রহমান। লন্ডন থেকে প্রায়ই তার বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ আগস্ট তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধ চেয়ে রুল শুনানির আবেদন করেন আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকা লীনা।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: