অনলাইন ডেস্ক//
কে হচ্ছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) নতুন মেয়র– এ নিয়ে আলোচনা এখন শহরজুড়ে।
ফেসবুকে দোয়া চেয়ে পোস্ট দিচ্ছেন অনেকে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরাও বসে নেই, তারাও পছন্দের নেতার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
এই সিটির আগের তিনটি নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হলেও এবার তা হচ্ছে না। তবে অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে একাধিক নেতা প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত মিলছে। গত সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত দুইবারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ও স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে বহিষ্কৃত নিজাম উদ্দিন কায়সার আসন্ন উপনির্বাচনে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।
২০১১ সালের ১০ জুলাই কুসিকের যাত্রার পর ২০১২ সালের প্রথম নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী প্রয়াত অ্যাডভোকেট আফজল খানকে হারিয়ে নাগরিক কমিটির ব্যানারে মেয়র হন বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু। ২০১৭ সালের ২য় নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে নৌকার প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে পরাজিত করেন তিনি। ২০২২ সালের ১৫ জুন কুসিকের তৃতীয় নির্বাচনে আরফানুল হক রিফাত মাত্র ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন মারা যান মেয়র রিফাত। আগামী ৯ মার্চ এই সিটিতে ভোটগ্রহণ হবে।
উপনির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনায় আছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও পিপি অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম সেলিম, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক ভিপি শফিকুল ইসলাম সিকদার, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ খোকন, দলের উপদেষ্টা ও ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক ভিপি নুর-উর রহমান মাহমুদ তানিম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর আসনের এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিনের বড় মেয়ে তাহসীন বাহার সূচনা, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কবিরুল ইসলাম শিকদার, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান মিঠু, এফবিসিআইর পরিচালক ও কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ডা. আজম খান নোমান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. মাহবুবুর রহমান ও প্রয়াত মেয়র আরফানুল হক রিফাতের স্ত্রী অধ্যাপিকা ফারহানা হক শিল্পী।
সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে। উভয়ে গত সিটি নির্বাচনে পরাজিত হন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জহিরুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘দলীয় প্রতীক না থাকলেও প্রার্থিতার বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আমাদের দলীয় ফোরাম থেকে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আশা আছে।’ সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও নগরীতে আমার অনেক অনুসারী ও মুরব্বি আছে, যারা বিগত সময়ে পাশে ছিলেন। সবার সঙ্গে কথা বলছি, অনেকেই নির্বাচন করতে ইতিবাচক মতামত দিচ্ছেন।’ নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, ‘আমি এখন দলের বাইরে। যেহেতু দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে না, তাই নগরবাসীর দোয়া নিয়ে স্বতন্ত্র প্রতীকে নির্বাচন করব।’
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, কুসিক নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৩ ফেব্রুয়ারি। যাচাই-বাছাই হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ ফেব্রুয়ারি। আর ভোটগ্রহণ ৯ মার্চ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এই সিটিতে ভোটার ২ লাখ ৪২ হাজার।
0 coment rios: